Saturday, March 15, 2025

মবের মধ্যে ঢুকে মারামারি থামানোর কথা বলতে হেডম লাগে : সারজিস

আরও পড়ুন

স্বৈরশাসন বিরোধী আন্দোলনের সঙ্গী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর পাশে দাঁড়িয়েছেন আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম।

রাজপথের সহযোদ্ধার প্রশংসা করে তিনি বলেন, আশপাশে এমন বহু শত্রু আছে যারা সুযোগ পেলে খুন করে ফেলবে, এটা জানার পরও মবের মধ্যে ঢুকে মারামারি থামানোর কথা বলতে হেডম লাগে। অন্য কেউ এই সাহস করেনি। সাহস করেছে হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সোমবার দুপুরে এক নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে দেওয়া এক ফেসবুক পোস্টে এসব কথা লেখেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক।

সারজিস আলমের ফেসবুক পোস্টটি ঢাকা পোস্ট পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো—

‘আশপাশে এমন বহুত শত্রু আছে যারা সুযোগ পেলে খুন করে ফেলবে, এইটা জানার পরেও মবের মধ্যে ঢুকে মারামারি থামানোর কথা বলতে হেডম লাগে। অন্য কেউ এই সাহস করে নাই। সাহস করেছে Hasnat Abdullah। সাহসটা করার জন্যে হাসনাতকে মাথায় তুলে ফেলতে হবে সেটা বলছি না, তবে ন্যূনতম এপ্রিশিয়েটটা অন্তত করতে শিখেন। হয়তো ফলাফল প্রত্যাশিত হয়নি কিন্তু এর চেয়েও খারাপ কিছু হতে পারতো ৷ সবচেয়ে বড় কথা উদ্দেশ্য সৎ ছিল৷’

আরও পড়ুনঃ  চূড়ান্ত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশকে চারটি প্রদেশ তৈরির পরিকল্পনা ?

‘এই ছেলেটার সমস্যা হলো এর মাথা গরম আর সবসময় গ্রেটার পার্সপেক্টিভ চিন্তা করে। কিন্তু সত্যি এটাই যে, মাথা গরম বলেই সেই জুলাইয়ে ভিসি চত্ত্বরে গায়েবানা জানাজা শেষে যখন সবাই পুলিশের টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড আর ছোররা বুলেটে দিকবিদিক ছুটে যাচ্ছিল তখন এই ছেলেটা সর্বপ্রথম স্রোতের বিপরীতে গিয়ে ওই পুলিশের দিকে দুই হাত প্রশস্ত করে এগিয়ে যায় আর বলে “we are open to killed”!’

‘ঠিক যেমনিভাবে গতকাল গিয়েছিল৷ এই ছেলেটাই সেই জুলাইয়ে হাসিনার বিরুদ্ধে রাজাকার রাজাকার মিছিলের সামনের সারিতে মাঝখানে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল, যখন অনেকেই নিজেকে সেফ জোনে রেখেছিল। এই ছেলেটাই সর্বপ্রথম এবং একা সচিবালয়ে আনসার লীগের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামে এবং পরবর্তী সময়ে ঐক্যবদ্ধ চেষ্টায় সচিবালয় অনেকটা সুরক্ষিত হয়ে ওঠে।’

আরও পড়ুনঃ  পিনাকীর নির্দেশনায় নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ

‘এই মাথা গরম ক্ষ্যাপা ছেলেটার দোষ হচ্ছে যখনই কোথাও অস্থিতিশীল অবস্থা দেখা দেয়, ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাওয়া যায় তখনই কোনো কিছু চিন্তা না করে সমাধানের জন্য ছুটে যায় ৷ হোক সেটা ক্যাম্পাস, রাজপথ কিংবা অন্য কোথাও৷ আপনারা যারা শুধু ঘরে বসে স্যোশাল মিডিয়ার ঝড় তুলতে পারেন তাদের মতো সেইফ গেম প্লে না করতে পারাটা হাসনাতের সবচেয়ে বড় সমস্যা ৷ কিন্তু তিক্ত সত্য এটাই যে, এই মাথা গরম স্বভাবওয়ালা ক্ষ্যাপা তরুণ প্রজন্মের কারণেই এই নতুন বাংলাদেশ ৷’

আরও পড়ুনঃ  সাবেক আইজিপি শহীদুল ৭ দিনের রিমান্ডে

‘কতজনের এখন কত রকম স্বার্থ আর ধান্ধা সেটা আমরা বুঝি, অপ্রত্যাশিত কিছু হলে এরা যে আবার গর্তে যাবে সেটাও জানি ৷ কিন্তু দিনশেষে চোখের সামনে রক্ত আর হাজারো জীবনের বিনিময়ে অর্জিত নতুন স্বাধীনতা রক্ষা করতে হাসনাতরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ৷ আপনাদের মতো গুটিকয়েক ভণ্ড, সুবিধাবাজ, কালপ্রিট কী বললো আর কী বিহেভ করলো, তাতে আমাদের কিছু আসে যায় না ৷ হাসিনার পোষারা এর চেয়ে কম বলেনি বা করেনি৷’

‘মিনিমাম কমনসেন্স থাকলে বোঝা উচিত কারা করসে, কেন করসে। রকেট সায়েন্স না বোঝাটা।’
We are Hasnat & proud to be a fellow-fighter of Hasnat.

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ