অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন ও বিচার উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল সম্প্রতি এক বক্তব্যে স্বীকার করেছেন যে বাংলাদেশের বর্তমান সংকটের পেছনে সরকারের ব্যর্থতা, দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং প্রশাসনিক দুর্বলতা প্রধান কারণ।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর ক্ষমতা রাখে। আমরা অনেক সময় আশা ছেড়ে দিলেও, সুযোগ আসলে সবাই মাঠে নেমে আসে। তবে এত বড় আত্মত্যাগের পরও আমাদের স্বপ্নপূরণে ব্যর্থতার কারণগুলো অস্বীকার করা যাবে না।”
অধ্যাপক নজরুল ব্যাখ্যা করেন যে, গত ১৫ বছরে প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পুলিশের কার্যক্রমের অদক্ষতা নিয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, “বর্তমান পুলিশের ৮০ শতাংশ সদস্য আওয়ামী লীগের আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত। তারা কীভাবে নিরপেক্ষ থেকে কাজ করবে? তাছাড়া, যারা কাজ করতে পারছে তাদের মধ্যেও ভয় কাজ করে যে, আগামী সরকারে তাদের অবস্থা কী হবে।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, নতুন জনবল নিয়োগ করা দীর্ঘ সময়সাপেক্ষ এবং জটিল একটি প্রক্রিয়া। এই বাস্তবতা সত্ত্বেও, সরকারের পরিকল্পনাহীনতা এবং পূর্ব প্রস্তুতির অভাব পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
অধ্যাপক নজরুল তার বক্তব্যে দেশের বর্তমান পরিস্থিতিকে একটি “আগুন নেভানোর” সঙ্গে তুলনা করে বলেন, “আমরা সবাই মিলে ঘরের আগুন নিভিয়েছি। কিন্তু এই ঘর পুনর্নির্মাণের কাজ আগুন নেভানোর চেয়েও কঠিন। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে যেন সেই আগুন আবার না লাগে।”
তিনি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “৫ আগস্ট পর্যন্ত আমাদের মধ্যে যে ঐক্য ছিল, সেই সহমর্মিতা ও ভালোবাসা ধরে রাখতে পারলে আমরা অবশ্যই আমাদের স্বপ্নের দেশকে নতুনভাবে নির্মাণ করতে পারবো।”