ইসরায়েলি হামলায় নিহত হওয়ার তিন মাস পর প্রকাশ পেল হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের একটি ভিডিও। সম্প্রতি কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি যুদ্ধক্ষেত্রে রয়েছেন এবং বিভিন্ন হামলার ছক কষছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ঘুরে বেড়াচ্ছে আল জাজিরার প্রকাশিত ভিডিওটি। গত অক্টোবরে গাজায় স্থল অভিযানে এই ইয়াহিয়াকেই হত্যা করার দাবি করেছিল ইসরায়েল। এরপর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসও এই তথ্য নিশ্চিত করে।
ফুটেজে গাজার যুদ্ধক্ষেত্রে সিনওয়ারকে দেখা যায়। এতে দেখা যায়, রাফাহ এলাকায় সামরিক অভিযান পরিচালনা করছেন তিনি। ফিলিস্তিনি এই নেতাকে একটি সামরিক ভেস্ট, হাতে একটি লাঠি এবং একটি কম্বল দিয়ে ঢেকে হাঁটতে দেখা যায়। বাইরে তখন ধ্বংসাবশেষ ছিল। এর মধ্য দিয়ে তিনি হাঁটছিলেন।
এতে আরও দেখা যায়, তিনি একটি ভবনের দেয়ালের পাশে বসে পরিকল্পনা করছেন। ওই দেয়ালে হিব্রু ভাষার একটি গ্রাফিতি। এতে বোঝা যাচ্ছে, তিনি সেখানে যাওয়ার আগে ইসরায়েলি সেনারা এই বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেছেন।
অন্য একটি দৃশ্যে সিনওয়ারকে পোলো শার্টে অন্য একজনের সঙ্গে দেখা যায়। তাঁদের সামনে একটি মানচিত্র ছড়ানো ছিল। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামলা শুরু করার জন্য হামাসের তৎকালীন প্রধান সিনওয়ার যে আদেশে স্বাক্ষর করেছিলেন, তার একটি ভিজ্যুয়ালও প্রকাশ করেছে আল জাজিরা।
মাত্র ২০ মিনিটে ৫ হাজার রকেট এসে আঘাত হানে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে যা হয়, তা গোটা বিশ্বকেই অবাক করে দিয়েছিল। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের এই রকেট হামলায় ১ হাজার ৩০০ জনের বেশি ইসরায়েলি নিহত হন। ইসরায়েলের নিরাপত্তাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে এত বড় হামলার পরিকল্পনা এসেছিল কার মাথা থেকে?
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ বলছে, হামাসের এই হামলার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন ইয়াহিয়া সিনওয়ার। তাঁকে ‘খান ইউনিসের কসাই’ নামে ডাকেন ইসরায়েলি সেনারা। বিশেষ অভিযানে তাকে হত্যা করা হয়।