Tuesday, March 18, 2025

আমাকে ১ নম্বর না করে ৯৪ নম্বর আসামি কেন করা হলো?

আরও পড়ুন

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আহাদুল ইসলাম নামে একজনকে গুলি ও মারধরের মাধ্যমে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারপারসন জেড আই খান পান্নার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

মামলার বিষয়ে একটি সংবাদমাধ্যমকে জেড আই খান পান্না বলেন, ‘একই সঙ্গে আনন্দিত, দুঃখিত। কিছুটা হতাশ, আমাকে ১ নম্বর না করে ৯৪ নম্বর আসামি কেন করা হলো। ঘটনাস্থল যেখানে দেখানো হয়েছে, সেই মেরাদিয়ায় আমি কখনও গেছি বলেও মনে হয় না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি সবসময় কোটার বিপক্ষে ছিলাম। এ জন্য আদালতে লড়েছি। আন্দোলনের সময় ছাত্রদের যখন ধরে নিয়ে যেত, তখন ছাত্রদের পক্ষ নিয়েছি। তখন বলেছি, ৭১ সালে বলত ঠক ঠক ঠক, মুক্তি আছে কি না, আর ২৪-এ বলছে ঠক ঠক ঠক ছাত্র আছে কি না। ছাত্রদের ডিবি ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে আমারও ভূমিকা ছিল। ছাত্ররা বের হয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন শুরু করল এবং ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলো। এর পর বিভিন্ন সময়ে উপদেষ্টাদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে সমালোচনা শুরু করেছিলাম। সমালোচনাটা অযৌক্তিক নয়। সমালোচনা সহ্য করতে না পারলে রাষ্ট্র পরিচালনায় থাকা উচিত নয়। যদিও সব রাষ্ট্রনায়ক, যারা ক্ষমতায় থাকেন তারা সমালোচনা সহ্য করতে পারেন না।’

আরও পড়ুনঃ  জরুরি সভা ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা

মামলা সূত্রে জানা যায়, এই হত্যা চেষ্টা মামলায় পান্নাসহ ১৮০ জনকে আসামি করে খিলগাঁও থানায় মামলাটি করা হয়। গত ১৭ অক্টোবর মামলাটি করেন আহাদুলের বাবা মো. বাকের (৫২)।

মামলায় বিজিবির বর্তমান মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীকেও আসামি করা হয়েছে।

মামলার বিষয়ে খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দাউদ হোসেন বলেন, আহাদুল ইসলামের বাবা মো. বাকের বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। মামলায় মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারপারসন জেড আই খান পান্নাসহ মোট ১৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করে দেখছি আমরা।

আরও পড়ুনঃ  ট্রাম্পকে ড. ইউনুসের অভিনন্দনে কার স্বপ্নভঙ্গের কথা বললেন ইলিয়াস?

মামলার এজাহারে সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আহাদুলসহ অন্যরা মেরাদিয়া বাজারের কাছে বিক্ষোভ করছিলেন। তখন নাম না জানা বিজিবি, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অন্য আসামিদের নির্দেশে গুলি চালায়। এ সময় আহাদুল গুলিবিদ্ধ হন। তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে থাকা আসামিরা তাকে মারধরও করেন। পরে তাকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলার সময় ছাত্র জনতার আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন খ্যাতিমান আইনজীবী জেড আই খান পান্না। জেড আই খান পান্না আন্দোলনকালিন আটক ছাত্র সমন্বয়কদের ছাড়াতে আইনি লড়াই চালান। প্রচণ্ড সমালোচনা করেন শেখ হাসিনার সরকারের।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ