Saturday, March 15, 2025

পুলিশ আত্মসমর্পণের আহ্বান জানালে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে ডাকাতরা, অতঃপর…

আরও পড়ুন

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে গভীর রাতে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় দেশীয় অস্ত্রসহ ডাকাত চক্রের ৫ সদস্যকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে ক্ষেতলাল উপজেলার আলোমপুর গ্রামে আবুল হায়াতের বাড়ি থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে কাছ থেকে ১টি কুড়াল, ১টি কোদাল, ১টি বটি, দুটি মোটরসাইকেলসহ নগদ ৪১ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে ।

আটককৃতরা হলেন, বগুড়া দুপচাঁচিয়া কোল গ্রামের মৃত মজিবর উদ্দীনের ছেলে খোকা মিয়া (৪৮ ), ক্ষেতলাল উপজেলার দেওগ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে আ. মাজেদ (২৬) আক্কেলপুর উপজেলার আলী মাহমুদপুর গ্রামের মৃত মহন রবিদাসের ছেলে শ্রী প্রশান্ত রসিদ (২৭), আলমপুর গ্রামের আবুল হায়াতের স্ত্রী মোমেনা খাতুন (২৩), ফরিদপুর জেলার কোতোয়ালি থানার টেপাখোলা গ্রামের মোতালেব মল্লিকের মেয়ে সিনথিয়া আক্তার (২০)।

আরও পড়ুনঃ  সেই সুমাইয়ার মেডিকেলে ভর্তির দায়িত্ব নিলেন বিএনপি নেতা

এ ঘটনায় পলাতক রয়েছে আরও দুজন। তারা হলেন, ক্ষেতলাল উপজেলার দেওগ্রামের খাজামুদ্দিনের ছেলে হাসান আলী (২৩) ও আলোমপুর গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে আবুল হায়াত (৩১)

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার ২৪ জানুয়ারি রাত ১০টার দিকে উপজেলার আলমপুর ইউনিয়ন ডাকাতি প্রস্তুতিকালে ওই গ্রামে আবুল হায়াতের বাড়িতে একত্রিত হচ্ছিল। সে সময় জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি (ওসি) আসাদুজ্জামান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে আবুল হায়াতের বাড়িসহ আশপাশের কয়েকটি বাড়ি ঘেরাও করে। ওই সময় ডাকাত দলের সব সদস্যদেরকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানানো হলে ডাকাতদল এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে। এক পর্যায়ে পুলিশ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহায়তা চাইলে জয়পুরহাট সদর, পাঁচবিবি, কালাই ও ক্ষেতলালের অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। ওই সময় পুলিশ পাল্টা ১২ রাউন্ড কার্তুজ গুলি ছুড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এলে ঘটনাস্থল থেকে ওই ডাকাত দলের পাঁচ সদস্যকে আটক করা হয়। পরে দুটি মামলা করা হয়।

আরও পড়ুনঃ  মৃত্যুর কাছে হার মানলো দগ্ধ স্কুলছাত্র নিতুন

এ ঘটনায় ডাকাতদলের এক সদস্য শ্রী প্রশান্ত রবিদাস পালানোর চেষ্টার সময় আঘাতপ্রাপ্ত হলে তাকে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, অপরদিকে ডিবি পুলিশের একজন সদস্য গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনায় পৃথক দুইটি মামলা হয়েছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল ওয়াহাব জানান, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা পেশাদার ডাকাত ও ছিনতাইকারী দলের সদস্য। তারা ডাকাতির উদ্দেশ্যে একত্রিত হয়েছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে আজ ১১টার দিকে জয়পুরহাট জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ