Friday, March 14, 2025

টক শোতে পাওয়া সম্মানীর ৫০% জমা দিতে হয় নাগরিক কমিটিতে

আরও পড়ুন

জাতীয় নাগরিক কমিটির সহ-মুখপাত্র সালেহ উদ্দিন সিফাত বলেন, প্রথম জাতীয় নাগরিক কমিটি এখনো কোন রাজনৈতিক দল হয়ে উঠেনি। এটি হলো একটি সিভিল পলিটিক্যাল প্লাটফরম। এখানে আমরা যেটা করি। আমাদের একটা অর্থনৈতিক পলিসি আছে।

তিনি বলেন, আমরা নিজেদের মধ্যে দৈনন্দিন যে কার্যক্রম সেটা কিভাবে পরিচালনা করবো। যেমন বলা যেতে পারে যে, টেলিভিশনের টকশোতে একটা সম্মানী দেওয়া হয়। জাতীয় নাগরিক কমিটির অর্থনৈতিক পলিসি হচ্ছে, টকশোতে যেই যাক না কেন। টেলিভিশন থেকে প্রাপ্ত অর্থের অর্ধেক জাতীয় নাগরিক কমিটিতে জমা দিতে হবে।

আরও পড়ুনঃ  শেখ হাসিনাকে ভারতের দেয়া ট্রাভেল ডকুমেন্ট নিয়ে যা বললেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সালেহ উদ্দিন সিফাত বলেন, প্রত্যেকটা সদস্যর নির্দিষ্ট পরিমাণ চাঁদা আছে প্রতি মাসে। আবার কখনো যদি আমরা কোন এজেন্ডা ভিত্তিক অনুষ্ঠান করি। তখন আমরা নিজের মধ্যে খরচের সংখ্যাটা হিসাব করে আমরা ভাগ করে নেই।

অর্থের যোগান কে কে দিচ্ছেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা এই ফ্যাসিবাদ সরকারের পতন চেয়েছেন অথবা যেকোন ব্যক্তি এক বক্স খাতা কিনে দিয়েও এখানে অংশগ্রহণ করতে পারে। সুতরাং যারা যারা এই ফ্যাসিবাদি সরকারের বিলুপ্তি চেয়েছেন। মূলত তারাই জাতীয় নাগরিক কমিটিতে আমাদের শুভাকাঙ্খী হিসেবে একটা নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে আমাদের প্রতি আস্থা রেখে তারা অর্থনৈতিক সহায়তা করে আসছে।

আরও পড়ুনঃ  ‘লাল শাড়ি পরে পিলখানায় ঢুকেছিলাম, বের হয়েছি বিধবা হয়ে’

জাতীয় নাগরিক কমিটিতে অফিসে অনেক বিধ্বংসী লোক আসছে এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জনগণকে সব সময় বিশ্বাস করতে চাই। জনগণকে সব সময় ট্রাস্ট করতে চাই। আমাদের যে ভুল হবে না। ব্যাপারটা এরকম না। বাংলাদেশের অনেক বড় বড় রাজনৈতিক দলের ভুল হচ্ছে। মানুষ মাত্রেই ভুল। যখন আমাদের ভুল হবে। জনগণ যদি আমাদেরকে ভুলটা ধরিয়ে দেয়। আর সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ভুল স্বীকার করার কালচারটা নেই। কিন্তু আমরা আমাদের ভুল স্বীকার করে আমরা নিজেদের সংশোধন করে নিব।

আরও পড়ুনঃ  সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সুখবর দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা

তিনি আরোও বলেন, কিছু দিন আগে জনগণের মাধ্যমে জানতে পারি যে, কিছু সদস্যর ফ্যাসিবাদ সরকারের সদস্যদের সাথে আতাত করার খবর আমরা পাই। কিন্তু এটা জানার পর আমরা সাথে সাথে ব্যবস্থা নেই।

আরেকটা কথা আমি বলতে চাই যে, আমরা লিডারশীপ ইন্সপায়ার করতে চাই। আগামীতে যেন এই গতানুগতিক রাজনৈতিক ধারা থেকে বের হয়ে একটি নতুন বাংলাদেশ বির্নিমান করতে পারি। এটাই মূলত আমাদের প্রত্যাশা।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ