Saturday, March 15, 2025

কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটিতে আওয়ামী লীগের কর্মী

আরও পড়ুন

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলা শাখার কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হয়েছেন আওয়ামী লীগের কর্মী। গত ১৫ জানুয়ারি জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের জয়পুরহাট জেলা শাখার আহ্বায়ক সেলিম রেজা ডিউক ও সদস্যসচিব মনজুরে মওলা পলাশের স্বাক্ষরে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট কালাই উপজেলা শাখার অনুমোদন দেওয়া হয়। অনুমোদিত ওই আহ্বায়ক কমিটির সদস্যের তালিকায় ১৯ নম্বরে রয়েছেন আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী মো. নুর নবী।

বিষয়টি জেলা কমিটির দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য অভিযোগ তুলে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ‘নৌকার মাঝি নুর নবী এখন জয়পুরহাট, কালাই জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কর্ণধার…।’ লেখা পোস্ট দিয়েছেন জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক লায়ন সিরাজুল ইসলাম বিদ্যুৎ। এ পোস্টের পরপরই জেলাজুড়ে বিএনপির নেতা–কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা–সমালোচনা শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  ঝিনাইদহে বিএনপি-জামায়াতের সংঘর্ষে আহত ২০, বাড়িঘর ভাঙচুর

এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নুর নবী সরকার কালাইয়ের কিডনি বেচাকেনার দালাল চক্রের সদস্য। এ অপরাধে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে কিডনি, অস্ত্র ও মানবপাচারসহ একাধিক মামলা চলমান। মাত্র এক যুগের ব্যবধানে কোটিপতি বনে গেছেন। দীর্ঘদিন থেকে নুর নবী আওয়ামী লীগ করেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরপরই খোলস বদলাতে শুরু করেন। একপর্যায়ে কৃষক দলের কমিটিতেও স্থান পেলেন! কৃষক দলের ওই কমিটিতে আরও বিতর্কিত ব্যক্তিরা স্থান পেয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  মোদি-ট্রাম্প ফোনালাপ, বাংলাদেশ নিয়ে কী কথা হল?

কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতা সিরাজুল ইসলাম বিদ্যুৎ ক্ষুব্ধ হয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন।

নুর নবী শনিবার দুপুরের দিকে মোবাইল ফোনে জানান, ওই কমিটির বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তিনি একটি দরবারে (সালিস বৈঠকে) আছেন। সাক্ষাতে কথা হবে। এইটুকু বলেই তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জয়পুরহাট জেলা কৃষক দলের সদস্যসচিব কাজী মনজুরে মওলা পলাশ জানান, নুর নবী বিএনপি করতেন। জেনেশুনেই তাঁর নাম দেওয়া হয়েছে। সন্দেহ থাকলে এ বিষয়ে খোঁজখবর নিতে বলেন তিনি।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ