Saturday, March 15, 2025

নতুন শীর্ষ কমান্ড গঠন করল হিজবুল্লাহ, দীর্ঘ যুদ্ধের প্রস্তুতি

আরও পড়ুন

ইসরাইলের হামলায় শীর্ষ নেতাদের হারানোর পরও হিজবুল্লাহ দক্ষিণ লেবাননে দীর্ঘ যুদ্ধের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুতি নিচ্ছে। এরই মধ্যে ইসরাইলের বিরুদ্ধে স্থল ও রকেট হামলা চালাতে নতুন সামরিক নেতৃত্ব গঠন করেছে তারা। এছাড়া হিজবুল্লাহ শীর্ষ কমান্ড গঠনের কাজও শুরু করেছে গোষ্ঠীটি।

হিজবুল্লাহর কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত দুটি সূত্রের বরাতে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

গত তিন সপ্তাহে ইসরাইলি হামলায় হিজবুল্লাহর সামরিক সক্ষমতায় মারাত্মক ধাক্কা লাগে। বিশেষ করে তাদের সবচেয়ে বড় ক্ষতি ছিল গোষ্ঠীর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর মৃত্যু। এখন সমস্ত দৃষ্টি দক্ষিণ লেবাননে, যেখানে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা ইসরাইলি সেনাদের প্রতিরোধে কতটা কার্যকর হতে পারে, তা দেখার অপেক্ষা করছে শত্রু-মিত্র সবাই।

আরও পড়ুনঃ  ৪+৪ এর অর্ধেক কত, এ প্রশ্নে নেট দুনিয়ায় কেন তুমুল আলোচনা?

হিজবুল্লাহর এক শীর্ষস্থানীয় কমান্ডার জানিয়েছেন, হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার তিন দিনের মধ্যে নতুন একটি কমান্ড সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। ১ অক্টোবর থেকে সেটি কার্যকরও রয়েছে।

ইসরাইলের থিংকট্যাঙ্ক সংস্থা আলমার বিশ্লেষক ও কর্মকর্তা আভরাহাম লেভিন রয়টার্সকে বলেন, ‘আইডিএফের হামলায় শুধু হিজবুল্লাহর হাইকমান্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, গোষ্ঠীটির অস্ত্রভাণ্ডার, যোদ্ধাবাহিনী ও অন্যান্য সক্ষমতায় কিন্তু এ অভিযানের তেমন প্রভাব পড়েনি।’

তিনি আরও বলেন, হিজবুল্লাহ খুব ভালো করেই জানে যে তাদের যে অস্ত্রভাণ্ডার ও যোদ্ধাবাহিনী রয়েছে, তা দিয়ে অনায়াসে তারা ইসরাইলের সঙ্গে দীর্ঘ দিন যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারবে। ইরান তো তাদের পাশে আছেই। ফলে অস্ত্র-গোলাবারুদের সংকট তাদের আপাতত হবে না।’

আরও পড়ুনঃ  গাজায় এক কবর থেকেই উঠে আসছে শত শত লাশ

এদিকে লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইলি বাহিনী। বিমান ও হেলিকপ্টার থেকে দফায় দফায় ছোড়া গোলার আঘাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে শহরের বিভিন্ন আবাসিক ভবনগুলোর।

বৈরুত ছাড়াও দেশটির বিভিন্ন শহরে সতর্কবার্তা ছাড়াই হামলা চালানোয় বেড়েই চলেছে হতাহতের সংখ্যা। ধসে পড়া ভবনের নিচে আটকা আছেন অনেকে। তাদের নিরাপদে বের করতে কাজ করছেন স্থানীয় বাসিন্দাসহ উদ্ধারকর্মীরা।

অন্যদিকে ইসরাইলি হামলায় জাতিসংঘ মিশন ইউনিফিলের দুই শান্তিরক্ষী আহত হওয়ার ঘটনায় ইসরাইলের বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় চলছেই। তেল আবিবের পশ্চিমা মিত্র দেশগুলোই এতে সামিল হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ  রাফাহতে ইসরায়েলি বিমান হামলা, ১৩ ফিলিস্তিনি নিহত

জাতিসংঘ মিশনে হামলার ঘটনাকে অগ্রহনযোগ্য হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁ ও ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি। আর স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

পাল্টা জবাব দিয়ে যাচ্ছে হিজবুল্লাহও। শুক্রবারও ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর ঘাঁটি লক্ষ্য করে ৭০টির বেশি রকেট হামলা চালায় তারা। তবে এতে হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি। বেশিরভাগ রকেট প্রতিহতের দাবি করেছে নেতানিয়াহু বাহিনী।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ