Tuesday, March 18, 2025

বায়তুল মোকাররমের ভারপ্রাপ্ত খতিবকে নিয়ে সমালোচনার ঝড়

আরও পড়ুন

জনরোষে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পলাতক রয়েছেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ রুহুল আমিন। তার অনুপস্থিতিতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গবেষণা বিভাগের মুহাদ্দিস ড. ওয়ালীয়ুর রহমান খানকে জুমার নামাজ পড়ানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার।

এদিকে ওয়ালীয়ুর রহমান খানের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে তিনি শেখ মুজিব, ১৫ আগস্ট ও ‘শহিদ’ শব্দ নিয়ে কথা বলেছেন। পরে এ বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

ওয়ালীয়ুর রহমান খান বলেন, বঙ্গবুন্ধ একেবারেই জানতেন না— ঘুম থেকে উঠেছেন পর তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। তার সঙ্গে অন্যরা, তারা প্রচলিত আইনে বা শরিয়া আইনে কোনো মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নন তাদের হত্যা করা হয়েছে, তাহলে তারা শহীদ। আর অন্য দৃষ্টিতে সেখানে অবলা নারী ছিলেন, মাসুম বাচ্চা শিশু ছেলে রাসেল ছিলেন তাকে হত্যা করার কোনো আইন নেই বা কোনো বৈধতা নেই— মানবতার কোনো স্তরেই এটা পড়ে না।

আরও পড়ুনঃ  ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণ মামলায় বৃদ্ধ গ্রেপ্তার

তিনি আরও বলেন, আজ পর্যন্ত আমার আগে আরও অনেক এ ঘটনার সাক্ষী এ ইতিহাস জানা লাখ লাখ আলেম দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন। কোনো আলেম কিন্তু এ বিষয়ে কোনো দলিল দিয়ে সমর্থন করে না। কোনো আলেম কোনো ইসলামি দল বা কোনো সাধারণ ইসলমপন্থিরা কিন্তু এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত না, সমর্থনও করেনি। কোনো আলেম কিন্তু এটি নিয়ে কোনো কলামও লিখেনি। আমিও সেই সুরেই কথা বলছি— আমি নতুন কিছু বলছি না।

আরও পড়ুনঃ  মুক্তিযুদ্ধের সময় বয়স ছিল ৯ বছর, এখন তিনি মুক্তিযোদ্ধা

এই গবেষক বলেন, আওয়ামী লীগের লোকেরাই প্রথম শহীদ বলতেন না, তাদের মধ্যে ইসলামের থেকে দূরত্ব ছিল। তারা মনে করতেন শহীদ শব্দটা পকিস্তানের পরিভাষা। শহীদ শব্দটা স্বাধীনতাবিরোধীরা বলে। শহীদ শব্দটা আওয়ামী লীগের পরিপন্থি। তাই আপনি দেখবেন ১৫ আগস্ট এই নির্মম নিষ্ঠুর ঘটনার পর আওয়ামী লীগের কোনো লেখায় শেখ মুজিবসহ কাউকে শহীদ বলা হয়নি। এছাড়া শাহাদাতবার্ষিকী বলা হতো না। এই গত ১৫-১৬ বছর থেকে শাহাদাতবাষির্কী বলা হচ্ছে। আগে মৃত্যুবার্ষিকী তারই বলতো।

আরও পড়ুনঃ  ডাকাত সন্দেহে গুলশানে ভবন ঘেরাও, চলছে অভিযান

এজন্য আমরা মনে করি, এখন তাদের উপলব্ধি হয়েছে। এখন ১৫ আগস্টকে জাতির পিতার শাহাদাতবার্ষিকী বলা হচ্ছে। এখন ১৫ আগস্টে নিহত সবাইকে শহীদ বলা হচ্ছে। মানুষ এভাবে দোয়াও করছেন। শেখ মুজিবের অবদান অনেক, তার নেতৃত্বে জাতি সংগঠিত হয়েছিল দেশ স্বাধীন হয়েছিল। বিশেষ করে ২৫ মার্চে পাক বাহিনীর অত্যাচারের পর জাতি যে সংগঠিত হলো এবং দেশ যে স্বাধীন হলো এগুলো তো স্বীকার করতে হবে।

সোলায়মান মাসুম নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, এমন বিতর্কিত ব্যক্তি জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতীবের দায়িত্ব পান কীভাবে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ